ঢাকা,সোমবার, ২০ মে ২০২৪

শরিফ নিজেই পরিবেশ ধ্বংসের সর্দার!

paurashava-1_1বিশেষ প্রতিনিধি:
পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকলেও থেমে নেই নদ-নদী ও বিভিন্ন ছরা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনসহ পাহাড় কাটার ভয়বহতা। স্থানিয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক দলের নেতা এবং ঠিকাদার নামধারী কতিপয় ব্যক্তি প্রতিদিন শহরতলীর বিভিন্ন এলকায় চালাচ্ছে পরিবেশ ধবংসযজ্ঞের কাজ। আর এসব দমনে সরকারের যে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগটি রয়েছে তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সাক্ষী গোপালের ভুমিকায় থাকায় এ পরিস্থিতি উত্তরণের সকল প্রচেষ্টাই বার বার মার খাচ্ছে। কথায় বলে যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থাও তাই। সরকারের উন্নয়নের এ প্রতিষ্ঠানটির রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম দূর্নীতি পাকাপোক্ত।

সুত্রে জানায় যায়, পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর রুমালিয়ারছরা ব্রীজ সংলগ্ন গোদারপাড়ার রাস্তাটি ঠিকাদার সিন্ডিকেটের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে দীর্ঘকাল সংষ্কার থেকে বঞ্চিত ছিল। অবশেষে সংষ্কার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে প্রথম দফায় কাজ শুরু করে  স্থানীয় এক ঠিকাদার। কিন্তু প্রথম দফা কাজ শুরুতেই প্রকৃতির উপর চালাচ্ছে ধবংসযজ্ঞ। বালির খরচ বাঁচাতে রাতের আধারে স্ক্যাভেটের দিয়ে চলমান ছরাটি থেকে নির্বিচারে উত্তোলণ করছে কাঁদাযুক্ত বালি। এছাড়া ছরাটির পাশে স্থানীয়দের সৃজন করা বহুদিনের যে বটবৃক্ষ ছিল স্ক্যাভেটের দিয়ে তা উপড়ে ফেলা হয়েছে। বালি উত্তোলনের ফলে ফাঁটল ধরেছে সরকারি গাইড ওয়ালের। ঠিকাদারের এমন ধবংসযজ্ঞ কর্মকান্ড দেখে হতবাক স্থানীয়রা। উপড়ে দেয়া বটবৃক্ষটি কেটে নিতে তোড়জোড়ও শুরু করেছে এই ঠিকাদার। তবে স্থানীয়দে তুপের মুখে পড়ায় বর্তমানে বটবৃক্ষটি অভিভাবকহীন ভাবে ছরার মধ্যে পড়ে আছে। যা দেখে স্থানীয়রা আপসুস ও ক্ষোভ প্রাকাশ করছে প্রতিনিদন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব ধবংসযজ্ঞ কাজে যোগসাজস রয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর ছালামাত উল্লাহ বাবুল। তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর হলেও নিজেই ছরা থেকে স্ক্যভেটার দিয়ে বালি উত্তলন ও গাছটি উপড়ে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঠিকাদারের এসব পরিবেশ ধ্বংসযজ্ঞ কর্মকান্ডের অনলাইন নিউজ পোর্টলসহ বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের নেই কোন খবর। বরং রয়েছে তাদের রহস্য জনক ভুমিকা।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষকে খবরও দিয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত তাদের কোন সাড়া পায়নি। দুই দিনেও ঘুম ভাঙোনি পরিবেশ অধিদপ্তরের।

স্থানীয় জাহাঙ্গীরসহ অনেকে ক্ষোভের সাথে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তেরর সর্দার শরিফ নিজেই পরিবেশ ধবংসকারীদের সর্রদার। তাকে খবর দিয়েও কোন কাজ হয়নি। পরিবেশ ধ্বংসকরণ দৃশ্য দুই দিনেও দেখতে আসেনি।

এদিকে পরিবেশ ধ্বংসকারীদের দমনে এ বিভাগটি অনিয়ম, দূর্নীতির গ্যাড়াঁকলে পড়ে গেছে। সহকারী পরিচালক থাকলেও তার ভুমিকা সর্বদাই প্রশ্নবিদ্ধ। সু-চতুর এই কর্তার হাবভাব দেখলে মনে হয়ে পরিবেশ ধবংসকারীদের শিকড় পর্যন্ত উপড়ে ফেলবে।

অভিযোগ হচ্ছে, কক্সবাজারের চিহ্নিত ভূমি দস্যুদের বিশ্বস্তের জায়গা ও আস্তাভাজন লোক হচ্ছে এই কর্তা বাবু। যখন পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যম গুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় তখন নড়ে-চড়ে বসে ধুরন্ধর এই কর্তা বাবু ও তার অধিনস্থরা। তখন নামকাওয়াস্তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে মামলার নামে শুরু হয় বাণিজ্য। মোটা অংকের বিনিময়ে বাদ পড়ে যায় মূল হুতারা।

এছাড়া পরিবেশের এই কর্তার বিভিন্ন অনিয়মে পত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে কক্সবাজারে কিছু নামধারী পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাকর্মী।

পাহাড় কর্তনকারীদের সাথে তারা যোগসাজস করে ফাঁয়দালোটার কারণে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ ধবংসকারীরা। ফলে উদ্বিগ্ন রয়েছে কক্সবাজাররের সচেতন মানুষ।

এব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার অফিসের সহকারি পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলামের (০১৫৫৬৩৪০৭৭৬) মুঠোফোনে বহুবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ করেন নি। এ কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

পাঠকের মতামত: